ঢাকাসোমবার , ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
  1. আন্তর্জাতিক
  2. এক্সক্লুসিভ
  3. খেলা
  4. জাতীয়
  5. তথ্যপ্রযুক্তি
  6. নগর-মহানগর
  7. নাসিক-২০২১
  8. বিনোদন
  9. রাজনীতি
  10. লাইফ-স্টাইল
  11. লিড
  12. লিড-২
  13. লোকালয়
  14. শিক্ষা
  15. শিক্ষাঙ্গন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গাইড বই চালাতে ঘুষ!

আবু বকর সিদ্দিক
ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২২ ৬:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। তবুও সক্রিয় গাইড বই এর দালালচক্র। গাইড বই নিষিদ্ধ। তবুও কোন প্রকাশনী থেমে নেই। প্রশাসন বেশ কঠোর।  প্রশাসন ও আইনকে তোয়াক্কা করছেনা কেউ। মাঠে নেমেছে দালালচক্র। গাইড বইসহ কোন লাইব্রেরী বা স্কুলে কেহ ধরা পড়লে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘুষ প্রদান বাবদ  কয়েক কোটি টাকা বাজেটও করেছে দালালচক্র।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, দালালচক্র স্কুলের প্রধানশিক্ষক ও কমিটির সভাপতিকে ঘুষ দেয় ছাত্রসংখ্যা অনুসারে। সহায়ক বইয়ের নামে ডজন দুয়েক পাবলিকেশন কোটি টাকার নিষিদ্ধ নোট গাইড বিক্রির টার্গেট নিয়ে মাঠে নামে প্রতিবছর। এ বছরও নেমেছে। সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে নোট গাইড শিক্ষার্থীদের ধরাতে শিক্ষকদের ম্যানেজ করতে টাকা ছড়ানো হচ্ছে। তবে করোনার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবার ঘুষের পরিমাণ কম বলে তথ্য মিলেছে।সূত্রমতে নারায়ণগঞ্জ জেলায় মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৬৫৩ টি। এর মধ্যে সরকারী ৪৩৪ টি বেসরকারী ৩০৬ টি ও প্রাথমিক ৯১৩ টি বিদ্যালয়। প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতি এক লাখ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ দিচ্ছে পাবলিকেশনগুলো।

গত ডিসেম্বর থেকে পাবলিকেশনের অন্তত শতাধিক কর্মী প্রাথমিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক-সভাপতি ও বিভিন্ন শিক্ষক সমিতির নেতাদের কাছে দৌড়ঝাঁপ করছেন। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছে মোটা অংকের টাকার ছড়াছড়ি। নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রত্যেকটি উপজেলায় টাকা নিয়ে ছুটছেন নিষিদ্ধ গাইড সরবরাহকারী পাবলিকেশনগুলোর প্রতিনিধি। অর্থ হাতিয়ে শিক্ষার্থীদের গাইড কিনতে পরামর্শ দিচ্ছেন অনেক শিক্ষক ও শিক্ষক নেতারা।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসের গবেষনা কর্মকর্তা নাজমুননাহার খানম বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিজিট করতে গেলে কোন গাইড চোখে পড়েনা। আমরা যখন কোন ছাত্রকে জিজ্ঞেস করি পাঠ্যপুস্তুকের সাথে আর কোন ধরনের বই পড়ানো হয় কিনা। আমরা কোন কিছু দেখিনা। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে  জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত গাইড বই নিষেধ। গাইড বই বিক্রিকালে বা বিতরণকালে কোন লাইব্রেরী বা স্কুলের কেহ ধরা পড়লে ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন অনুসারে সাজা প্রদান করবে। একাধিক সূত্র জানায়, ২০০৮ সাল থেকে প্রাথমিক মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে দুএকটি বিষয় ছাড়া বেশির ভাগ বিষয় সৃজনশীল পদ্ধতির আওতায় আনা হয়। শিক্ষার্থীদের মুখস্ত বিদ্যা পরিহার গাইড বই ও কোচিং নির্ভরতা কমানোর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সৃজনশীল পদ্ধতির প্রচলন করে। কিন্তু সরকারের এই প্রয়াস ভেস্তে দেয়ার চেষ্টা করছে চিহ্নিত সব প্রকাশনী ও তাদের সহযোগী শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির কতিপয় নেতা।

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে নজরদারিতে মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা অফিস। তবে কতটুকু কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারবেন তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে। একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল সূত্র ও বই ব্যবসায়ীদের সূত্র জানিয়েছে মূলত নোট গাইড চালাতে বার্ষিক পরীক্ষার পরপরই চিহ্নিত প্রকাশনা কোম্পানির কর্মী বাহিনী মাঠে নেমে পড়েছেন। মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও বিভিন্ন লাইব্রেরিতেও মোটা অংকের কমিশন ও উপঢৌকন দিয়ে গাইড চালাচ্ছে। আর তা বিক্রি নিশ্চিত করতে এবার কোটি টাকা ছড়ানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে টাকা ছড়ানোও শুরু হয়েছে। চিহ্নিত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সভাপতি প্রধান শিক্ষক এলাকার শিক্ষকনেতা এমনকি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা পর্যায়ে ম্যানেজ ও দেনদরবার চালাচ্ছে।

এ অঞ্চলের অধিকাংশ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্থরের স্কুলে পৌঁছে গেছে পাবলিকেশনের লোকজন। গাইড পড়তে বা কিনতে উৎসাহিত না করতে জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা আফিসারের সামনে শপথ করলেও শিক্ষকনেতা নামধারী চিহ্নিতরা তা ভুলে গিয়ে গাইড চালাতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।