ফতুল্লা লালপুর এলাকায় ৩ মাদক ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণে চলছে প্রকাশ্যে রমরমা মাদক ব্যবসা। হাত বাড়ালেই মিলছে নানা ধরণের মাদকদ্রব্য। এক সময় শুধু গাজার রাজত্ব ছিলো এখানে। গাঁজার পাশাপাশি এখন ভয়ঙ্কর মাদক ইয়াবার রাজত্ব চলছে।সূত্রে জানা যায়, মাদক সম্রাট কানা সুমন, মাহবুব ওরফে জামাই মাহবুব প্রকাশ্যে জমজমাট ইয়াবার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। যা দেখে পথচারীরা হতভম্ব। এভাবে প্রতিদিন ফতুল্লা বাজারের পাশে স-মিলের পিছনে ও লালপুর পৌষারপুকুর পাড় এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করছে। ব্যাপক চতুর মাদক ব্যবসায়ী সাইফুল রনি অনেকটা নিরব ভঙ্গিমায় ব্যবসা করে থাকেন বলে বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা যায়।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লা সহ লালপুর এলাকায় হরদমে ব্যবসা চলছে মরণ নেশা ইয়াবার। যা বিক্রি করছে মাদক সম্রাট কানা সুমন, মাহবুব ওরফে জামাই মাহবুব ও সাইফুল রনি ছাড়াও বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী। আর এসকল মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোয়ারা নিয়ে মাদক সেবনকারীদের পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে কৃতিত্ব দেখানোর চেষ্টা করছে সোর্সরা। অধরা থেকে যাচ্ছে প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা।
সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লা থানার পাশেই স-মিলের পিছনে ও লালপুর পৌষারপুকুর পাড় এলাকায় সাবেক এমপি কবরীর ক্যাডার মাদক সম্রাট কানা সুমন, সাইফুল রনি সহ মাহবুব ওরফে জামাই মাহবুব দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় মাদক ব্যবসা করা স্বত্ত্বেও অদৃশ্য কারণে বারবার ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায় এসকল মাদক ব্যবসায়ীরা। এ তিন মাদক ব্যবসায়ী মাদকের ডিলার ফালানের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা সংগ্রহ করে নিজেরা বিক্রির পাশাপাশি ফতুল্লা-লালপুর সহ আশেপাশের এলাকায় সরবরাহ করে।
সাবেক এমপি কবরীর ক্যাডার মাদক সম্রাট কানা সুমনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানা ও জেলা ডিবিতে মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সোহেল ওরফে শুটার সোহেল হত্যা মামলার আসামী সাইফুল রনি ও মাদক সম্রাট কানা সুমনকে ২০১০ সালে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে ২০১২ সালে ফতুল্লার বটতলা রেললাইন এলাকায় চাঁদা চাওয়ার অপরাধে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছিলেন কবরীর ক্যাডার মাদক সম্রাট কানা সুমন ও সাইফুল রনি।ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার প্রশাসনের হাতে গ্রেফতার হলেও জামিনে বের হয়ে পুনরায় ফতুল্লা-লালপুর এলাকায় ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী নারায়ণগঞ্জ জেলা ও ফতুল্লা থানা পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।