মুক্তিযোদ্ধাদের বিতর্কিত করছেন কাউন্সিলর রুহুল

এনসিসি সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল চৌধুরী বাড়ী ক্যানেলপাড় এলাকায় ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিনের ক্রয়কৃত সম্পত্তি নিয়ে মজিবুর ও সিরাজগংদের ওয়ারিশের দাবীদার হয়ে স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা তার বাহিনী দিয়ে ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিনের উপর হামলা চালায়। শুধু হামলা করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি কাউন্সিলর বাহিনী। হামলার বিষয়ে মামলা হওয়ায় এখন সেট কে উল্টোখাতে প্রভাবিত করতে দেশের সূর্যসন্তান মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ব্যবহার করছেন কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।

সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, সেই দিনের ঘটনায় ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিনের কোন সম্পৃক্ততা ছিলোনা। কাউন্সিলর বাহিনী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কারখানার শ্রমিকদের উপর হামলায় চালায় ঠিক সে সময়ে র‌্যাবের একটি টহলকৃত টিম উক্তস্থান দিয়ে যাচ্ছিলো। বিভিন্ন মানুষের হাতে দেশীয় অস্ত্র দেখে র‌্যাবের টিম রুহুল বাহিনীর সদস্যদের স্থান ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। তারা নির্দেশ অমান্য করার ফলে র‌্যাব ও পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া দেয়। সেই ঘটনাকে এখন ভিন্নখাতে নেয়ার জন্যই ঢাল হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ব্যবহার করছেন কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা। তবে সেদিনের ঘটনায় কোন বাড়ি-ঘরে হামলা চালানো হয়নি। কাউন্সিলর বাহিনী কর্তৃক ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিনকে আটক করে বসিয়ে রাখার ফলেই এমন হট্টগোল হয় অভিমত অনেকের। তবে সেখানে কোন মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিলেননা। আর যে মুক্তিযোদ্ধাদের কথা বলা হচ্ছে তাদের বসবাস এনসিসি ১০ নং ওয়ার্ডের ইব্রাহিম টেক্সটাইল মিলের বালুর মাঠের সাথে।

স্থায়ীয়রা জানান,২০১৬ সালে ইব্রাহিম টেক্সটাইল মিলের মাঠে কোরবানীর পশুর হাট বসাতে না পেরে কাউন্সিলর রুহুল তার লাইসেন্সকৃত পিস্তল প্রদর্শন করে এবং মুক্তিযোদ্ধাদেরকে হুমকীও প্রদান করেছিলেন মেরে ফেলার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, রুহুল আমিনের পক্ষে লুঙ্গি মাহবুবগংরা একেবারেই বেপরোয়া হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন

- Advertisement -

কমেন্ট করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

ডেইলি নারায়ণগঞ্জে প্রকাশিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি এবং ভিডিও কন্টেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।

সর্বশেষ