ঢাকামঙ্গলবার , ৮ মার্চ ২০২২
  1. আন্তর্জাতিক
  2. এক্সক্লুসিভ
  3. খেলা
  4. জাতীয়
  5. তথ্যপ্রযুক্তি
  6. নগর-মহানগর
  7. নাসিক-২০২১
  8. বিনোদন
  9. রাজনীতি
  10. লাইফ-স্টাইল
  11. লিড
  12. লিড-২
  13. লোকালয়
  14. শিক্ষা
  15. শিক্ষাঙ্গন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সরকারি জমি দখলে নিতে ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট

আবু বকর সিদ্দিক
মার্চ ৮, ২০২২ ৫:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সরকারি জমি দখলে নিতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছের হুকুমে সন্ত্রাসীরা নিরীহদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর চালিয়ে নির্মাণ সামগ্রী সহ মালামাল লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (৬ মার্চ) রাত দশটার দিকে উপজেলার হাওলি পাড়া এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) ঘটনার তিন দিন হয়ে গেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ, অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।ভুক্তভোগী বিল্লাল হোসেন জানান, তাদের বাড়ি উপজেলার মাহমুদাবাদ টঙ্গীর ঘাট এলাকায়। তিনিসহ ব্রাক্ষণগাঁও এলাকার টঙ্গীর হোসেন ভিটে মাটি হীন। তাদের কোন জায়গা জমি না থাকায় অন্যের বাসায় ভাড়া থাকেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীনদের গৃহায়ন করার গ্রহণ করলে তারা সহ এলাকার অন্যান্য নিরীহ মানুষ সরকারি ঘর ও জমি পাওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন।

আবেদনের পর মুড়াপাড়া ইউনিয়নের ব্রাক্ষণগাও মৌজার হাওলি পাড়া গ্রামে জমি বরাদ্দ পান তারা। বরাদ্দ পাওয়ার পর সারা জীবনের উপার্জিত অর্থ ব্যয় করে বরাদ্দকৃত জমিতে ঘরবাড়ি নির্মাণ শুরু করেন। গত এক সপ্তাহ ধরে মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছ বাড়ি নির্মাণ না করার জন্য তাদেরকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন।

সরকারের ক তালিকাভুক্ত জমি আত্মসাৎ ও দখলে নিতে চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছের হুকুমে তার পালিত সন্ত্রাসী সাহারুল, সুমন, ইকবাল, রাকিব, ডালিম, দেলু, বাবলা সহ তাদের লোকজন বড় বড় সরকারি কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে বরাদ্দ পাওয়া নিরীহদের অব্যাহত হুমকি দিয়ে আসছে।গত রোববার রাত দশটার দিকে আলমাছ চেয়ারম্যানের হুকুমে ওই সন্ত্রাসীরা ধারালো ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নির্মাণাধীন বাড়ীঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর সহ তাণ্ডব চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা লোহার দরজা, জানালা, গ্রিল, রড, সিমেন্ট সহ প্রায় ৮ লাখ টাকার নির্মাণ সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়া এ ঘটনায় কোনো প্রকার মামলা মোকদ্দমা করলে নিরীহদের ওই জমিতে খুন করে পুতে রাখা হবে বলেও হুমকি দেয়।

এ বিষয়ে মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি তার মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেননি। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও শাহ্ নুসরাত জাহান বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। এ বিষয়ে আমি আমারও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি এবং তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

বিল্লাল হোসেন আরো জানান, ঘটনার তিন দিন হয়ে গেলেও এবং থানায় অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ মামলা নেয়নি। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, এ ধরনের ঘটনার একটি অভিযোগ গত সোমবার রাতে পেয়েছি। তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে মামলা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।