বন্দরে ধর্ষণ মামলা দায়েরের ৪ দিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ষনের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে ধর্ষিতা যুবতী। সোমবার (৬ জুন) সকালের বন্দর উপজেলার বালিয়াগাও এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। রোববার (৫ জুন) অভিযুক্ত ধর্ষক নুরুল আমিনের স্ত্রী শ্যামলী বেগম ও একই এলাকার তাওলাদ হোসেনের ছেলে ধর্ষকের ভাগ্নে ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম ইব্রাহিম গত ধর্ষিতা যুবতীকে ধর্ষনের ভিডিও আপলোড করে। ধর্ষিতার আত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন ও মদনগঞ্জ ফাঁড়ী উপ-পরিদর্শক মহসিনসহ সঙ্গীয় র্ফোস দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে বেলা ১২টায় লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় বন্দর থানায় আরো একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে ধর্ষিতার আত্নহত্যার সংবাদ পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও আপলোডের অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ২ বছর ধরে বন্দর বিয়ের প্রলোভনে ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে আসছে উপজেলার বালিয়াগাও এলাকার মৃত জামির খানের লম্পট ছেলে নুরুল আমিন। গত ২২মে সকাল পৌনে ১১টার দিকে নুরুল আমিন ওই যুবতী বসত বাড়িতে প্রবেশ করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ভাবে তাকে ধর্ষন করে। পরে ধর্ষিতা নুরুল আমিনকে বিয়ে করার কথা বললে ওই সময় লম্পট বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে গত ২ জুন লম্পট নুরুল আমিনকে আসামী করে বন্দর থানায় ৫(৬)২২ নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে।এদিকে মামলা দায়ের করায় ধর্ষক নুরুল আমিনের স্ত্রী শ্যামলী বেগম ও একই এলাকার তাওলাদ হোসেনের ছেলে ধর্ষকের ভাগ্নে ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম ইব্রাহিম গত রোববার (৫ জুন) ধর্ষিতা যুবতীকে ধর্ষনের ভিডিও ভাইরাল করে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা সোমবার (৬ জুন) সকাল ১০টায় নিজ ঘরের আঁড়ার সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। আত্নহত্যার সংবাদ পেয়ে শ্যামলী বেগম ও ইব্রাহিম পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষক নুরুল আমিন ও অশ্লীল ভিডিও ভাইরালকারি ধর্ষকের স্ত্রী শ্যামলী ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম ইব্রাহিম পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।