নিজস্ব প্রতিবেদক:
একই গ্রামের থাকার সুবাদে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয় দুজনের। একদিন বন্ধুর বাড়ি বেরাতে আসে আরেক বন্ধু। একসাথে রাত্রী যাপন করে। কিন্তু সকালে ঘুম ভেঙ্গে দেখে মানিব্যাগ ও মোবাইল নেই। পরে জানতে পারে সেই বন্ধুই তার মোবাইল নিয়েছে। বন্ধুর বাবা মাকে অবগত করলে তারা ফেরৎ দেয়ার আশ্বাস দেয়।
কিন্তু সেই বন্ধু মানিব্যাগ ও মোবাইল ফেরৎ না দিয়ে, উল্টো তার মোবাইলে থাকা পরিবারের নারীদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবার হুমকী দিয়ে ব্ল্যাক মেইলিং করে। পরে পুলিশের সহায়তা নিলে সেই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত বন্ধুর নাম নাদিম মুন্সি (৩৫)।
সে কুমিল্লার বাংগরা থানার দক্ষিন বাংগারার হাটাশ গ্রামের আব্দুল তাহের মুন্সির ছেলে ও ফতুল্লার কুতুবপুর আদর্শ নগরের বাতেনের বাড়ীর ভাড়াটিয়া। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বন্ধু আব্দুল বাতেন বাদী হয়ে নাদিম মুন্সির বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনাটি ঘটে ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে ফতুল্লার কুতুবপুরের আদর্শ নগরের বাতেনের বাড়ীতে। এ ঘটনায় শুক্রবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় কুতুবপুরের আদর্শনগর এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযুক্ত নাদিম মুন্সিকে আটক করে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ। এদিকে মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী একটি ট্রাভেল এজেন্সির হয়ে কাজ করে।
বাদী আব্দুল বাতেন মিয়া ও গ্রেপ্তারকৃত নাদিম মুন্সি একই গ্রামের হওয়ার সুবাদে তারা পূর্ব পরিচিত। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে আব্দুল বাতেন ফতুল্লার কুতুবপুর আদর্শ নগরে নাদিম মুন্সির বাসায় বেড়াতে আসে। সেখানে রাত্রি যাপনের পর সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেকতে পায় মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নেই।
পরবর্তীতে সে জানতে পারে তার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নাদিম মুন্সি নিয়ে পালিয়েছে। বিষয়টি সে নাদিমের বাবা-মাকে জানালে তারা তাকে বলে যে, নাদিমের নিকট থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করে দিবে।
কিন্তু নাদিম মোবাইল ফেরৎ না দিয়ে উল্টো বাদী কে হুমকি প্রদান করে যে মোবাইলে থাকা তার পরিবারের নারী সদস্যদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করবে। সে ক্ষেত্রে তাকে আট লাখ টাকা প্রদান করতে হবে অন্যথায় তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির-৩ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সকাল পৌঁনে ১১টায় আদর্শ নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ী থেকে অভিযুক্ত আসামী নাদিম মুন্সি কে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত নাদিম তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের কথা স্বীকার করেছে। তাকে ইতিমধ্যে বিজ্ঞ আলাদতে প্রেরন করা হয়েছে।